লবণাক্ত মাটিতে জীবন সাজাতে
আবু হেনা ইকবাল আহমেদ১
স্বাদ নষ্ট করে খাদ্যে অধিক লবণ।
মাটি লোনা হলে তাতে কমে উৎপাদন
গাছ মাছ পশুতে তা বিষক্রিয়া করে
অপূরণীয় রয়ে যায় যুগ যুগ ধরে।
লবণাক্ততায় হয় ধ্বংস উর্বরতা
কারবালা রূপ নেয় পানির খরতা।
খাদ্য বাস্তুতন্ত্র ভূমি বিনষ্ট তামাম
মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে ছাড়ে প্রিয় গ্রাম।
জীবনে সাজিয়ে পুন গড়তে আবাস
উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে করা চাই চাষ।
বৃষ্টি ধরে সেচ আর মালচিং করায়
লবণাক্ত মাটি দেবে পুষ্টি পুনরায়
দেখা যাবে নুন-সহা আধুনিক ধান
ডাল তেলবীজ মাছ পশুর বাথান.. ..
মৃত্তিকা উর্বর
ড. নির্মল চন্দ্র শীল২
সৃজিলেন বিধাতা এই মাটির ভুবন।
দেখ চেয়ে এর মাঝে কত যে রতন!
শিলা, নুড়ি, পলি, বালু কর্দমের বাহার।
জল, তেল, গ্যাস, মণি, মুক্তা মানিকের আধার।
মাটি আবার নানা প্রকার রূপে গুণে বর্ণে।
বালু, পলি, কর্দম মিলে গঠিত ভিন্ন ধর্মে।
পৃথিবীর যত জীব, উদ্ভিদ আর প্রাণিকুলে।
নিবাস, আহার আর মমতা পায় মাটির কোলে।
মাটি হতে দেহ গড়ে আবার মাটিতে যায় মিশে।
পরম উদার হয়ে বিলায় বিত্ত নির্বিশে।
এসো সবে করি মাটির সযত্ন ব্যবহার।
দূষণ রুধিয়া করি মৃত্তিকা উর্বর।
নবান্ন ভোজ
হাবিবুর রহমান ভাবুক৩
নতুন ধানের সোঁদাল গন্ধে
বাতাস মাতোয়ারা
চাষার ঘরে অন্নপূর্ণা
ভরছে গোলা জালা।
নতুন আশায় ভালোবাসায়
ঝি-বৌ বাঁধে বুক
রঙিন পুঁতির মালা, কানে
সোনার দুলের সুখ!
চাষি বৌয়ের ভীষণ তাড়া
নেই তো চোখে ঘুম
ধান শালিকের নবান্ন ভোজ
তাক ধুমাধুম ধুম।
মহাজনের শুধবে দেনা
আর নেবে না সুদ
খাঁচার পাখি দানা পাবে
মাছের কুঁড়ো খুদ।
ঢেঁকিশালে নেই তো ঢেঁকি
বয়েই গেল তাতে?
কলের মিলে ধান ভানাবো
দেদার দিনে রাতে।
নাত নাতনী পোতা পুঁতনী
চড়ুইভাতি করে
চাষার মেয়ে নাইয়ার এলো
অনেক দিনের পরে!
ঘরে ঘরে পিঠা পুলি
ক্ষীর পায়েসের ধুম,
নবান্ন ভোজ জামাই মেয়ে
খুশিতে বাকবাকুম!!
লেখক : ১কৃষিবিদ। পরিচালক (অব.), বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, কৃষি মন্ত্রণালয়। মোবাইল : ০১৬১৪৪৪৬১১১ ই-মেইল : ahiqbal.ahmed@yahoo.com, ঠিকানা: ‘কলমিলতা # ৪, এলেনবাড়ি গভ. অফিসার্স কোয়ার্টার্স, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫। ২মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং, বিএআরআই, গাজীপুর। মোবাইল : ০১৭১৮২০১৪৯৯, ই-মেইল :ncshil.bari@gmail.com৩উপসহকারী কৃষি অফিসার (অব:), পিসি কলেজ বাগেরহাট, মোবাইল : ০১৭৩১২৭৪৯৮৫